• আজ [bangla_time], [bangla_day], [english_date], [bangla_date], [hijri_date]
  • magickhobor@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ
ব্রেকিং নিউজ

প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জবাই করে হত্যা, আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ম্যাজিক খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: Monday, October 23rd, 2023 2:09 pm পরিবর্তনের তারিখ: Monday, October 23, 2023 2:10 PM

প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জবাই করে হত্যা, আটক ৩
 
8 / 100

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী গ্রামে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশু ছেলেকে জবাই করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে চর ছয়ানী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার নিজ ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- ছয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার-(৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন-(১৪) ও ছোট ছেলে মহিন-(৭)। এ সময় তাদের ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘটনার পর পরই ত্রিপল খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে বাঞ্ছারামপুর থানার পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে বাড়ির একটি পাকা ভবনে বসবাস করতেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির গৃহপরিচারিকা জেসমিন আক্তার বাসায় কাজ করতে এসে বাড়ির গেইট বন্ধ দেখতে পায়। পরে তিনি জেসি আক্তারের জায়ের কাছ থেকে চাবি নিয়ে গেইট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন বিল্ডিংয়ের দরজা বন্ধ।

পরে জেসমিন আক্তার বিষয়টি আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রুমের মেঝেতে মা জেসি আক্তার ও বড় ছেলে মাহিনের লাশ এবং পাশের বাথরুমে ছোট ছেলে মহিনের লাশ দেখতে পায়। এ সময় প্রবাসী শাহ আলমের মেয়ে ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নূরে আলম বলেন, আমরা জেসি আক্তার ও তার বড় ছেলে মাহিনের রক্তাক্ত লাশ মেঝে থেকে ও ছোট ছেলে মহিনের লাশ বাথরুম থেকে উদ্ধার করি। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ভোরের দিকে পূর্ব পরিচিত অথবা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে বাড়ি থেকে কোন মালামাল খোয়া যায়নি। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তিনজনকে আটক করেছি। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ঘটনার তদন্তকাজ করছি। রহস্য উদ্ঘাটনে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।