ইকামা মেয়াদোত্তীর্ণদের দেশে ফেরাতে সৌদির সাহায্য চাইল দূতাবাস
নিজস্ব প্রতিবেদক, ম্যাজিক খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
Thursday, October 19th, 2023 3:24 pm পরিবর্তনের তারিখ:
Thursday, October 19, 2023 3:24 PM
ইকামার মেয়াদ শেষে প্রবাসীদের দেশে ফেরত পাঠাতে সৌদি আরবের সাহায্য চাইল বাংলাদেশ দূতাবাস। গতকাল বুধবার সৌদির শ্রম অফিসের চেয়ারম্যান সাউদ বিন সাবাব আসের সঙ্গে বৈঠক করেন দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা। এ সময় তিনি এ অনুরোধ করেন।
দূতাবাস জানিয়েছে, রিয়াদের মক্তব আমলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্পেশাল এক্সিট সুবিধার আওতায় বাংলাদেশি কর্মীরা কীভাবে সুবিধা পেতে পারে এ নিয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান বলেন, সৌদি আরবে বর্তমানে ২৮ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মরত রয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকেরই ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা বাংলাদেশে ফেরত যেতে দূতাবাসে আবেদন করছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়া প্রবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে এক্সিট ভিসা প্রদানের কাজটি করে থাকে সৌদি শ্রম অফিস এবং পরে ডিপোর্টেশন কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়া অনেক প্রবাসী মারাত্মক অসুস্থতা, অঙ্গহানিসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। তাই মক্তব আমলের ক্লিয়ারেন্স ইস্যুর সংখ্যা বাড়াতে সৌদির শ্রম অফিসের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মিশন উপ-প্রধানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদির শ্রম অফিসের চেয়ারম্যান বলেন, স্পেশাল এক্সিটের আওতায় এক্সিট প্রাপ্তদের বড় একটা অংশ দেশে ফেরত যাচ্ছেন না। যার ফলে তারা সৌদি শ্রমআইন ভঙ্গ করছেন এবং পুনরায় অবৈধ হয়ে পড়ছেন। সেজন্য দূতাবাসের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশি ছাড়াও তাদেরকে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক যারা সৌদি শ্রমআইন লঙ্ঘনকারী তাদের নিয়েও কাজ করতে হয়। তারপরেও মক্তব আমল কর্তৃপক্ষ আগের তুলনায় আরও বেশি আবেদন গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন এবং দূতাবাসের অপেক্ষমাণ আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশি ছাড়াও তাদেরকে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক যারা সৌদি শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী তাদের নিয়েও কাজ করতে হয় তারপরেও মক্তব আমল কর্তৃপক্ষ আগের তুলনায় আরও বেশি আবেদন গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন এবং দূতাবাসের অপেক্ষমান আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন।
এ সময় দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. হুমায়ূন কবীর ও প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।